যুদ্ধবিমানের জন্য ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি উন্মোচন করেছে ইরান

ইরানের সামরিক কার্যালয়ের দেয়া একটি ছবিতে গোপন একটি স্থানে অবস্থিত ইরানের প্রথম ভূগর্ভস্থ সামরিক বিমান ঘাঁটিতে ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল আবদোলরহিম মুসাভি (ডানে), এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোয়াম্মদ বাগেরি (মাঝে)-কে দেখা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ইরানের সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বাস্টিং বোমার সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধের জন্য তৈরিকৃত যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য তাদের প্রথম ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি উন্মোচন করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানায়।

ঘাঁটিটির নাম ওঘব ৪৪ (ঈগলের ফার্সি নাম)। ঘাঁটির ভেতরের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, এখানে “ড্রোন ছাড়াও সব রকমের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান থাকতে পারে।”

ঘাঁটিটির সঠিক অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, এটি “পাহাড়ের নিচে শত শত মিটার গভীরে” অবস্থিত এবং “যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমানের বোমা” প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

গত বছরের মে মাসে ইরানের সেনাবাহিনী দেশের পশ্চিমাঞ্চলে জাগোস পর্বতমালার নীচে ড্রোনগুলোর জন্য একটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটির কথা প্রকাশ করে।

এ সংক্রান্ত সর্বসাম্প্রতিক সংবাদটি প্রকাশ করা হয় ইরানে বিমান বাহিনী দিবস পালনের আগের দিন। এটি শনিবার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বার্ষিকী প্রদর্শনীর অংশ।

আইআরএনএ জানিয়েছে, ওঘাব ৪৪ “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত বিমান বাহিনীর অসংখ্য কৌশলগত ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটির মধ্যে একটি।”

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের সামরিক মহড়ায় যে যুদ্ধবিমানের অনুশীলন করা হয়েছে সেগুলোর দ্বারা “সম্ভাব্য আক্রমণের মোকাবিলায়” এটি যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখতে পারে।

ইরানের কাছে বেশিরভাগই রুশ মিগ এবং সুখোই যুদ্ধবিমান, যা সোভিয়েত যুগের। সেইসাথে এফ-সেভেন সহ বেশকিছু চীনা বিমান রয়েছে।

বিপ্লব পূর্ববর্তী কিছু এফ-ফোর এবং এফ-ফাইভ যুদ্ধবিমানও এই বহরের অংশ।