ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেসকি রেজনিকভ মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় বলেছেন, “যুদ্ধের সময়ও” সংস্কার অব্যাহত রয়েছে। তিনি তখনই এমন মন্তব্য করলেন; যখন গুজব ডালপালা মেলছে যে তিনি পদত্যাগ করছে বা তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রেজনিকভ বলেন, “আপনাদের সমর্থনের পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।আমরা উপসংহার টানছি।"
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি, রেজনিকভকে অন্য পদে বদলি করার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পার্লামেন্ট সদস্য বলছেন, তাকে অন্য কোন দায়িত্বে বদলি করা উচিৎ।
সোমবার রাতে দেওয়া ভাষণে জেলেন্সকি বলেন, তার সরকার সীমান্ত ও যুদ্ধাঞ্চলে “সামরিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যবস্থাপক” নিয়োগসহ “ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট পদগুলো শক্তিশালী করা হচ্ছে”।
রেজনিকভ বলেছেন, যেহেতু তিনি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন না, তাই তার ভবিষ্যত সম্পর্কে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট।
জানুয়ারির শেষের দিকে জেলেন্সকির সরকার সমস্যায় মধ্যে পড়ে। তখন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিয়াচেস্লাভ শাপোভালভ পদত্যাগ করেন। তিনি ইউক্রেন বাহিনীর লজিস্টিক সাপোর্ট দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। খাদ্য ক্রয় কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাকে পদত্যাগ করতে হয়; তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন আক্রমণের এক বছর পূর্তিতে রাশিয়া তাদের অগ্রগতি দেখানোর জন্য নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মঙ্গলবার বলেছে, রাশিয়া সম্ভবত জানুয়ারির শুরু থেকে ইউক্রেনে আবার আক্রমণ-অভিযান শুরু করার চেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে "প্রায় নিশ্চিতভাবেই ডোনেৎস্ক ওব্লাস্ট অঞ্চলের ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত অবশিষ্ট অংশ গুলো দখল করা।“
ব্রিটেনের মূল্যায়নে বলা হয়, " রাশিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধের ফলাফলকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার মতো প্রয়োজনীয় সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে না।“
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। আর, এর অর্থ হলো বিশ্ব একটি “বড় পরিনরের যুদ্ধে” দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে।