গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে, রবিবারি জানিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বহনকারী হেলিকপ্টারে হামলা হলে দক্ষিণ আফ্রিকার একজন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর হেলিকপ্টারে হামলা হলে, দক্ষিণ আফ্রিকার একজন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন আরো একজন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী এ সংবাদ জানিয়েছে।
নর্ড-কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমায় যাওয়ার সময় বেলা ৩ টার দিকে (জিএমটি ১২০০) হেলিকপ্টারটি গোলাগুলির কবলে পড়ে। তবে হেলিকপ্টারটি গোমায় অবতরণ করতে সক্ষম হয়। একজন মুখপাত্র এএফপিকে এ সংবাদ জানায়।
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে জাতিসংঘের মিশনের (মনুস্কো) মুখপাত্র আমাদেউ বা বলেন, হেলিকপ্টারটিতে আঘাত করা গুলির উৎস সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি এবং ঘটনাস্থলের সুনির্দিষ্ট অবস্থান এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনীও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস কঙ্গো কর্তৃপক্ষকে “এই জঘন্য হামলার তদন্ত করতে এবং দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে” আহ্বান জানিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৯ মার্চ কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং এম টুয়েন্টি থ্রি বিদ্রোহীদের মধ্যকার চলমান যুদ্ধাঅঞ্চলে শান্তিরক্ষীদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলে আটজন শান্তিরক্ষী নিহত হন। এদেরে মধ্যে ছিলেন, ছয়জন পাকিস্তানি, একজন রুশ ও একজন সার্ব শান্তিরক্ষী।
মিলিশিয়ারা গত কয়েক দশক ধরে, খনি-সমৃদ্ধ গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলকে সংঘাত জর্জরিত করে রেখেছে। তাদের অনেকগুলোই আঞ্চলিক যুদ্ধের ফলাফল। যা গত শতকের নব্বই দশক এবং এই শতাব্দীর প্রথম দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
পূর্ব আফ্রিকার নেতারা শনিবার গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পুর্বাঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।একটি শীর্ষ সম্মেলনে তারা এই প্রচণ্ড সংঘাতকে শান্ত করার উপায় খুঁজে বের করার জন্যও আহ্বান জানান।
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো খনিজ এবং মূল্যবান পাথরে সমৃদ্ধ।কয়েক দশকের যুদ্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদী অব্যবস্থাপনার ফলে, বিপুল সম্পদের সামান্য অংশই দেশটির ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে।