ভূপাতিত বেলুন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে চীন

ফাইল ফটো- চীনের শেই ফেং হংকং-এ একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। শেই, যুক্তরাষ্ট্রের চীনা বেলুনকে ভূপাতিত করাকে “আন্তর্জাতিক অনুশীলনের গুরুতর লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেন; ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০।

চীন সোমবার বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়তে থাকা বেলুনটিকে গুলি করে নামানোর সিদ্ধান্তটি ছিলো, “চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে এবং সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের পদ্ধতি নিয়ে” ওয়াশিংটনের আন্তরিকতার বিষয়ে একটি পরীক্ষা।

শনিবার দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূলের কাছাকাছি, আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান সন্দেহজনক চীনা নজরদারি বেলুনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাদেশীয় অঞ্চল জুড়ে বেশ কয়েক দিন উড়ার পর সেখানে বেলুনটির উড্ডয়ন শেষ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বেলুনটি একটি নজরদারি আকাশযান।যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে এই বেলুনের উড্ডয়নকে তারা চীনের “আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, বেলুনটি দেশ অতিক্রম করার সময় যাতে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।

চীন এই দাবিগুলো অস্বীকার করছে। তারা জোর দিয়ে বলছে, এটি ছিলো একটি বেসামরিক বৈজ্ঞানিক আকাশযান; যা দুর্ঘটনাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঢুকে পড়ে।

এই বেলুন দেখতে পাওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তার বহুল প্রত্যাশিত বেইজিং সফর বাতিল করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিক্ত হয়ে যাওয়া দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তার এই সফর পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, বেইজিং আশা করে, ওয়াশিংটন “আমাদের পার্থক্যগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য চীনের সাথে কাজ করবে; যাতে ভুল বোঝাবুঝি বা আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসের ক্ষতি এড়ানো যায়।”

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।