তুরস্ক এবং সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে

সিরিয়ার হামায় সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সিরিয়ায় ধসে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনুসন্ধান করছে; ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর পর, ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে আটকে থাকা মানুষদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন, তাদের সন্ধান শুরু হয়েছে।

এই প্রাক-ভোর ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল, তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী গাজিয়ানতেপের কাছে। এই ভূমিকম্পনের পর, দুপুরের দিকে ঐ এলাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আর একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কমপক্ষে ২৮০০টি ভবন ধসে পড়েছে।

ভূমিকম্পে ঐতিহাসিক গাজিয়ানতেপ দূর্গ এবং ঐ এলাকার আরো অনেক ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, গ্রিস, হাঙ্গেরি, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ার উদ্ধারকর্মী সমন্বয়ে গঠিত একটি উদ্ধারকারী-দল এই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য ফেডারেল অংশীদারদেরকে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কী কী করতে পারে, তা মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল।

১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়। এটি ছিলো কয়েক দশকের মধ্যে তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।ঐ র্ভমিকম্প দেশটির উত্তর-পশ্চিমে দুজস-এর কাছে আঘাত হানে।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এজিয়ান সাগরে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১১৬ জন নিহত এবং ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজন ছাড়া, বাকি সবাই তুরস্কের ইজমিরে অবস্থান করছিলেন।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।