পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, আট বছর আগে পুলিশ হেফাজতে এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) -এর সাবেক কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার জোড়পুকুরমাঠ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন, খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনি (৩০)।

জনির বাবা ইয়াকুব আলী সোমবার (৬ ফেব্রয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন বলে তার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান। বিচারক অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন এবং এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন; চট্টগ্রামের বর্তমান পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবির রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন। জনির মৃত্যুর ঘটনার সময় তারা সবাই ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।