ইউক্রেনের শহর খারকিভ শহরে রবিবার ২ টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। এর মধ্যে একটি ক্ষেপনাস্ত্র একটি আবাসিক ভবনে আঘাত করে। রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জানান, পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। রাশিয়া নতুন করে চেরনিহিভ, ঝাপোরিঝঝিয়া, নিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ, লুহানস্ক, দোনেৎস্ক ও মিকোলাইভ অঞ্চলে গোলাবর্ষণ শুরু করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার তারা পূর্বাঞ্চলের শহর বাখমুতে নতুন করে পরিচালিত রুশ হামলা প্রতিরোধ করতে পেরেছেন। শুক্রবার জেলেন্সকি ‘বাখমুতকে সসমর্পণ না করার এবং যতক্ষণ সম্ভব যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার’ অঙ্গীকার করেন।
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ২১৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আসা হাইমার্স ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সঙ্গে ব্যবহারের উপযোগী প্রথাগত ও দূরপাল্লার রকেট, অন্যান্য গোলাবারুদ ও অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার মতে, দূর পাল্লার নির্ভুল লক্ষ্যভেদী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেননের আঘাত হানার সক্ষমতাকে দ্দিগুণ করবে। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেন এই সক্ষমতা অর্জন করবে।
শুক্রবার কিয়েভে ২৪তম ইইউ-ইউক্রেন সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে রুশ চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আদের অবকাঠামো পুননির্মাণে অটুট সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লেইন জানান, ইউনিয়ন ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন ইউক্রেনকে সহায়তা করবে।
কর্মকর্তারা, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির জন্য সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন। তবে তারা জানান, এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি তারা দিতে পারছেন না।
রুশ হামলার কিছু সময় পর কিয়েভ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন জানায়। দেশটি যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে চাইছে।
এছাড়াও, ইউ’র কর্মকর্তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। উরসুলা ফন ডেয়ার লেইন বলেন, রাশিয়ার যেসব বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ইউক্রেন যুদ্ধকে সহায়তা করছে, সেগুলোই এই বিধিনিষেধের লক্ষ্যবস্তু হবে। এটি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত ১০ম নিষেধাজ্ঞা।