১০,০০০ উইঘুর শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে যাচ্ছে কানাডা

ফাইল - আগামী মাসের শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের আহ্বান জানিয়ে চীনের উইঘুর মুসলিম জাতিগত গোষ্ঠীর লোকেরা শহরের তুর্কি অলিম্পিক কমিটির ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছে। ইস্তাম্বুল, তুরস্ক। ২৩ জানুয়ারী, ২০২২।

বুধবার কানাডার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে ১০ হাজার উইঘুর শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার একটি প্রস্তাব পাস করেছে। চীন থেকে পালিয়ে আসা ঐ শরণার্থীরা চীনে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপের মুখে রয়েছে।

কানাডার আইনপ্রনেতারা উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি মুসলমানদের প্রতি বেইজিংয়ের আচরণকে গণহত্যা হিসাবে আখ্যায়িত করার পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই পদক্ষেপটি নেয়া হয়।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর ধারণা অন্তত ১০ লক্ষ উইঘুর এবং অন্যান্য যাদের বেশিরভাগ মুসলিম সংখ্যালঘু, তাদের ঐ অঞ্চলের বন্দী শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।ঐ একই অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে জোর করে নারীদের বন্ধ্যাকরণ এবং কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে।

কয়েক হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে এবং সাংসদ সামীর জুবেরির মতে, যিনি এই আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক, অন্তত ১৬০০ লোককে চীনের নির্দেশে অন্যান্য দেশে আটক বা জোর করে চীনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে, জুবেরি উল্লেখ করেন যে যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয় তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন।সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন এই পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, "এটি একেবারে স্পষ্ট যে আমরা উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে মেনে নিই না, উইঘুরদের সাথে যা ঘটছে তা অগ্রহণযোগ্য।"