চীনের অস্ত্র ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের যৌথ উদ্যোগ

মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠকের সময় কথা বলছেন, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ১০ মে, ২০১৮। (ফাইল ছবি)

মঙ্গলবার ভারতের সাথে একটি যৌথ অংশীদারিত্ব প্রকল্প চালু করছে হোয়াইট হাউজ। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করছেন এর ফলে, দেশ দু’টিকে সামরিক সরঞ্জাম, সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সহায়তা করবে।

চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে, যুক্তরাষ্ট্রে আরও ভারতীয় কম্পিউটার চিপ বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানাতে এবং আর্টিলারি সিস্টেমের মতো সামরিক সরঞ্জামগুলিতে সহযোগিতা করার জন্য উভয় দেশের কোম্পানিগুলিকে উত্সাহিত করতে, উপমহাদেশে আরও পশ্চিমা মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চায় ওয়াশিংটন।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জেক সালিভান, এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, অজিত ডোভাল, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে উভয় দেশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে অত্যাবশকীয় এবং উদীয়মান প্রযুক্তির উপর যুক্তরাষ্ট্র-ভারত উদ্যোগ চালু করতে বৈঠক করেছেন।

বৈঠক শেষে সালিভান বলেন, "চীনের তরফ থেকে বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ - এর অর্থনৈতিক অনুশীলন, তার আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ, ভবিষ্যতের শিল্পগুলিতে আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের সরবরাহ চেইনগুলি নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা - দিল্লির চিন্তাভাবনার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।"

নয়াদিল্লি নিয়মিতভাবে রাশিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য অর্থায়নের মূল উৎস দেশটির অপরিশোধিত তেল ক্রয় বৃদ্ধি করে ওয়াশিংটনকে হতাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ব্যাপারে এখনো যথেষ্ট সংযত আছে।

সোমবার, লকহিড মার্টিন, আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং অন্যান্য কর্পোরেট নেতাদের সাথে চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সালিভান এবং ডোভাল।

যদিও ভারত বাইডেন প্রশাসনের স্বাক্ষরিত এশিয়ান এনগেজমেন্ট প্রজেক্ট, ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) অংশ, তদুপরি দেশটি আইপিইএফ বাণিজ্য স্তম্ভের আলোচনায় যোগদানের বিরুদ্ধে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দুই দেশের উদ্যোগের মধ্যে, মহাকাশ এবং উচ্চ-কর্মক্ষমতা সম্পন্ন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর উপর একটি যৌথ প্রচেষ্টাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে, জেনারেল ইলেকট্রিক, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে ভারতের সাথে জেট ইঞ্জিন তৈরির অনুমতি চাইছে। এই জেট ইঞ্জিন ভারত পরিচালিত এবং উত্পাদিত বিমানকে শক্তি দেবে। তবে, হোয়াইট হাউজ বলছে, বিষয়টি এখনো তাদের পর্যালোচনাধীন আছে।