চীনের প্রদেশে এখন থেকে অবিবাহিত নারীরা বৈধভাবেই সন্তান ধারণ করতে পারবেন

চীনের পূর্ব ঝেজিয়াং প্রদেশের তাইঝৌতে একটি হাসপাতালে একজন নার্স একটি নবজাতক শিশুর যত্ন নিচ্ছেন। ১২ মে, ২০২২। ফাইল ছবি।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অবিবাহিত নারীদেরকে সন্তান নিতে এবং বিবাহিত দম্পতিদের জন্য সংরক্ষিত সুবিধা ভোগ করার অনুমতি দেবে। এটি চীনে জন্মহার হ্রাস ঠেকানোর সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা।

সরকারের নির্দেশে শুধুমাত্র বিবাহিত নারীদেরকেই আইনগতভাবে সন্তান জন্ম দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিবাহ এবং জন্মহারের রেকর্ড হ্রাস পাওয়ায় প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ অবিবাহিতদের সন্তান ধারণ করার অনুমোদন দিয়ে ২০১৯ সালে একটি নিয়ম সংশোধন করেছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিবাহিত দম্পতি এবং যেকোনো ব্যক্তি, যারা সন্তান চান তাদেরকে চীনের পঞ্চম জনবহুল প্রদেশে সরকারের কাছে নিবন্ধন করার অনুমতি দেয়া হবে। কতজন সন্তানের জন্য নিবন্ধন করতে পারবে সে ব্যাপারে কোনো সীমা নেই।

সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ব্যবস্থার লক্ষ্য “দীর্ঘমেয়াদী এবং সুষম জনসংখ্যার উন্নয়নের প্রচার করা।”

এখন পর্যন্ত কমিশন শুধুমাত্র বিবাহিত দম্পতিদেরকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করার অনুমতি দিত। বিবাহিত দম্পতিরা দুটি পর্যন্ত সন্তানের নিবন্ধনের অনুমতি পেত।

চীনের জনসংখ্যা ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো গত বছর হ্রাস পেয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক পর্যায় যা জনসংখ্যা হ্রাসের সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সম্ভাবনা কর্তৃপক্ষকে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রনোদনা এবং ব্যবস্থা চালু করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

এই সুবিধাগুলো এখন সিচুয়ানের অবিবাহিত নারী এবং পুরুষরাও পাবেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেসব প্রদেশের জনসংখ্যার ২১ শতাংশ ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী সিচুয়ান সেগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।

চীনের জনসংখ্যা হ্রাসের এই অবস্থা ১৯৮০ সাল এবং ২০১৫ সালের মধ্যে আরোপিত তাদের এক সন্তান নীতির কারণে ঘটেছে।