উত্তর কোরিয়ার উস্কানির প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আশ্বস্ত করবেন পেন্টাগন প্রধান

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ওয়াশিংটনে পেন্টাগনে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি জং-সুপের সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় কথা বলছেন। ৩ নভেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের আসন্ন সওল সফরে, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু ছাতা সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

অস্টিন সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে পৌঁছেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানায়, তিনি প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এই মাসের শুরুর দিকে ইউন খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন যে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে, তারা আবারও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের দাবি করতে পারেন। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়া নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দাবিও জানাতে পারে।

ইউন পরে তার সেই বক্তব্য ফিরিয়ে নেন। তবে, এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার দ্রুত সম্প্রসারণশীল পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। পাশাপাশি তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা-প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটন এবং সওল যৌথ সামরিক মহড়া বৃদ্ধি করেছে এবং কোরীয় উপদ্বীপের আশাপাশের অঞ্চলে পরমাণু হামলায় সক্ষম বোমারু বিমান এবং বিমানবাহী রণতরীগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অস্ত্র আরও ঘন ঘন মতায়েন করতে সম্মত হয়েছে।

তবে, রক্ষণশীল ইউন উত্তর কোরিয়ার প্রতি আরও আক্রমণাত্মক পন্থা গ্রহণ করতে চাইছেন। তিনি মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আরও কিছু করা উচিত।

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র আবার মোতায়েনের সম্ভাবনাকে দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেয়।এর বদলে, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু ছাতার সুরক্ষার আ্ওতায় আসে। পরমাণু ছাতার অধীনে ওয়াশিংটন তার এই মিত্রকে রক্ষা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রসহ সকল সক্ষমতা ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেয়।