ইরানে কয়েক মাস ধরে চলমান বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন দেশটির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার প্রতিক্রিয়ায় দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের ৩৪ জন ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো।
ইইউ এবং ব্রিটেনের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই দিন পর তেহরান এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটিতে ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভ চলছে।
ইরানি কুর্দি মাহসা আমিনি (২২) দেশটির কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে পুলিশ হেফাজতে মারা যান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তেহরানের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ইরানের ব্যাংকে তাদের একাউন্ট এবং লেনদেন ব্লক করা এবং ইরানে “ভিসা প্রদান ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা”।
ইরানে তাদের জনগণ এবং সংস্থার বিরুদ্ধে “সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন প্রদান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা প্রদান এবং ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর” অভিযোগ করে।
এটি তাদের “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা এবং ইরান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার” অভিযোগও করেছে।
ইইউ বলেছে, “ইরানি এই পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তারা জোর দিয়ে বলে, ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞাগুলো “স্পষ্টভাবে আইনি ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল।”
বিপ্লবী গার্ডের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইরান ইইউকে সতর্ক করেছে এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা সতর্ক আছেন যে, এটি তেহরানের সাথে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যে আলোচনার তারা মধ্যস্থতা করছেন সে সম্ভাবনা চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে।
চুক্তিটির অধীনে ইরানকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে যাতে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জন করতে না পারে- এটি এমন একটি ব্যাপার যা তারা কখনোই হতে দিতে চায়নি।