শিগগির বাস্তবায়ন হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প: প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শিগগির বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর,শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে তার আশার কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে সক্রিয় ভূমিকার’ জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ওয়েন জানান যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ত্যাগ-এর কথা স্বীকার করেন এবং তাদের প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের লক্ষ্য (প্রত্যাবাসন) অভিন্ন।”

কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা-কে আতিথ্য করছে বাংলাদেশ। গত ছয় বছরে কোন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং চীন থেকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশকে একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। চীনা রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য পিপিপি-তে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) শেষ করতে আগ্রহ দেখান।

নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। উভয় পক্ষ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ ও কোভিড পরিস্থিতিসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতামত বিনিময় করে।

চীনা নববর্ষ উপলক্ষে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ইয়াওর সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং তার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।