নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনে থাকা রুশ জাহাজ 'স্পার্টা-৩' ওরফে 'উরসা মেজর' জাহাজ। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন যে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না। ড.মোমেন রবিবার (২২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এর বাইরেও রাশিয়ার হাজার-হাজার জাহাজ আছে। স্যাংশনে থাকা ৬৯টা জাহাজ বাদে, অন্য যেকোনো জাহাজে তারা সরঞ্জাম পাঠাতে পারে।”

আব্দুল মোমেন জানান, “যে জাহাজগুলো স্যাংশনের মধ্যে আছে, আমরা সেগুলো গ্রহণ করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে।” তিনি জানান, এটা আশ্চর্যজনক লেগেছে যে রাশিয়া স্যাংশনে থাকা একটা জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এটা আশা করিনি। আমরা আশা করি এখন রাশিয়া নন-স্যাংশন জাহাজ দিয়ে জিনিসগুলো পাঠাবে।”

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনে থাকা রুশ জাহাজ স্পার্টা-৩ এ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পাঠিয়েছিলো রাশিয়া। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দরে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকাকে জানায় যে বাংলাদেশে পাঠানো রাশিয়ার এই জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন দেওয়া জাহাজের তালিকায় রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জাহাজটির বন্দরে নোঙর করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে।

সীমান্ত সমস্যা

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন যে জিরো লাইনে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সীমান্ত-সুরক্ষা রেখেছি। আমরা ওখানে খুব সতর্ক অবস্থানে আছি। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এদিকে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।”

ড. মোমেন বলেন, “আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু আমরা তো বিদ্রোহী দলের সঙ্গে আলাপ করি না। আমরা আমাদের এলাকা সুরক্ষা করছি।”

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তার সঙ্গে দেখা করবেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।