২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ইরানে বন্দী একজন ফরাসি আইরিশ নাগরিক এখন তার আটকের প্রতিবাদে অনশনে রয়েছেন। মুক্তি না পেলে তিনি কয়েক দিনের বেশি বাঁচবেন না। বুধবার তার বোন একথা জানান।
বার্নার্ড ফেলান প্যরিস ভিত্তিক ভ্রমণ পরামর্শদাতা এবং ইরানে বন্দী ৭ জন ফরাসি নাগরিকের একজন। অক্টোবরে ভ্রমণের সময় তিনি গ্রেপ্তার হন এবং উত্তর-পূর্ব ইরানের মাশহাদে তাকে আটক রাখা হয়েছে।
৬৪ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের পরিবার বলেছে, তিনি সোমবার অনশন শুরু করেছেন, এমনকি পানিও খাচ্ছেন না।বছরের শুরু থেকেই তিনি কোনো প্রকারের খাদ্য গ্রহণ করছেন না।
তার বোন ক্যারোলিন ম্যাসে-ফেলান বুধবার এএফপিকে বলেছেন, তার ভাই একজন নির্দোষ ব্যক্তি যে কারণে এই আটক “আমাদের বোধগম্যতার বাইরে”।
তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্যের অবস্থার কারণে তাকে দ্রুত মুক্তি দেয়া উচিত্।
সূত্রটি জানায়, ইরানি কর্তৃপক্ষ ফরাসি এবং আইরিশ কর্তৃপক্ষের উপর্যুপরি অনুরোধ সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অবস্থার কারণে ফেলানকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে।
সক্রিয় কর্মীদের মতে, ফেলান ইরানে বন্দি থাকা প্রায় ২৪ জন বিদেশীর মধ্যে একজন। ইরান পশ্চিমের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য আটকদেরকে জিম্মি হিসেবে অভিহিত করে।
ইরানের ধর্মীয় নেতাদের শাসনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের সময় ফেলান মাশহাদে ভ্রমণ করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সক্রিয় কর্মীদের আশঙ্কা, বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ফলে পশ্চিমা সরকার এবং ইরানের মধ্যকার যোগাযোগের বর্তমান অবনতি ঘটেছে এবং সেই কারণে বিদেশী বন্দিদের শীঘ্রই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে।