ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজকে আসতে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সমালোচনার মুখে

ফাইলঃ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর, রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা কৃষ্ণ সাগরের সোচিতে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের চলমান যুদ্ধের মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী মাসে তাদের পূর্ব উপকূলের অদূরে চীন ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর সংগে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর পরিকল্পনা করেছে। বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে এর অর্থই হচ্ছে রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে তারা "নিরপেক্ষ" অবস্থানে নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি কার্যত মস্কোর পক্ষ নিয়েছে।

চীন-রাশিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা মহড়ার নামকরণ করা হয়েছে অপারেশন মোসি এর অর্থ ধোঁয়া। ডারবানে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ থেকে ২৬ পর্যন্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৯ সালে যদিও রাশিয়ার সাথে যৌথ নৌ মহড়া করেছে তবে এই সর্বসাম্প্রতিক মহড়াটি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং কিয়েভের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের এক বছরপূর্তির সময়ে।

গত বছর জাতিসংঘের ভোটে ক্রেমলিনের আক্রমণের নিন্দা করতে অস্বীকার করে প্রিটোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘর্ষে “নিরপেক্ষ” থেকেছে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলো ডারবানে আসতে দিয়ে ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি একটি পক্ষ অবলম্বন করছে।
কোবুস মারাইস দলের ছায়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “যদিও আমাদের সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করেছে তবে এটাও অন্যান্য অনেক ঘটনার মধ্যে আরেকটি যেখানে এএনসি স্পষ্টভাবে রাশিয়ার প্রতি তাদের পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ করেছে এবং প্রকৃতপক্ষে এই ক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষতার অভাব ছিল এবং তা তারা প্রমাণ করা ছাড়া আর কিছুই করেনি”
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মস্কোর আক্রমণ ইউরোপে সবচেয়ে বড় এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে।
পশ্চিমা সরকাররা রাশিয়াকে আঘাত করার জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে এবং কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের রক্ষার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।