মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অল্পবয়সী মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং বিবাহের রিপোর্টে সোমবার "শঙ্কা প্রকাশ করেছেন" জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা এই প্রথা বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে, বিশেষজ্ঞরা অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য দেশীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এই কাজগুলির "নিরপেক্ষ" তদন্ত করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জোরপূর্বক এবং বাল্যবিবাহ, অপহরণ এবং পাচার নিষিদ্ধ করার আইন গ্রহণ এবং প্রয়োগ করতে হবে এবং নারী ও শিশুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।"
তবে, জাতিসংঘের বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এবং বিদেশী মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, হিন্দু ও খ্রিস্টানসহ সংখ্যালঘু ধর্মের যুবতী মহিলাদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং বিয়ে দেওয়া পাকিস্তানে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা।
প্রতি বছর পাকিস্তানে এরকম শত শত ঘটনা ঘটে থাকে। ভুক্তভোগীরা মূলত দরিদ্র পরিবার এবং নিম্নবর্ণের।
প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাকিস্তানে ২ শতাংশ হিন্দু এবং ১.৫ শতাংশেরও কম খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক বাস করে।
মূলত ইসলামিক গোষ্ঠীগুলির চাপের কারণে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এই ধরনের অভ্যাসের বিরুদ্ধে রক্ষা করার জন্য, পাকিস্তান সরকার জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সোমবার জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে, বিশেষজ্ঞরা ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য ন্যায্য বিচারের চলমান অভাবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।"