রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে, ইউক্রেনে চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে, ব্রিটেন ঠিক কত সংখ্যক ট্যাঙ্ক পাঠাবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার এক টেলিফোন সম্মেলন করেন।
তাদের ওই ফোনলাপের পর, জেলেন্সকি টুইটারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "এই সিদ্ধান্তগুলি কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের শক্তিশালীই করবে না, অন্যান্য অংশীদারদের কাছেও সঠিক সংকেত পাঠাবে।"
শনিবার ইউক্রেনের রাজধানীতে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটার কয়েক ঘণ্টা পর, ট্যাঙ্কগুলো পাঠানো সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা প্রকাশ করেনি। শহরের ডিনিপ্রোভস্কি জেলায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং হলোসিভস্কি জেলার একটি অনাবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পড়েছিল বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলে সোলেদারের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। কারণ, রাশিয়া শুক্রবার দাবি করেছে, তার বাহিনী পূর্ব ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের লবণ-খনির শহরটি দখল করে নিয়েছে। তবে ইউক্রেন বলছে, লড়াই এখনো অব্যাহত রয়েছে।
যদি মস্কোর দাবি সঠিক প্রমাণিত হয়, তবে একাধিক সামরিক বিপর্যয়ের পর, এটিই হবে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রথম বড় কোনো অর্জন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সোলেদার এখনও হাত ছাড়া হয়ে যায়নি।
তবে, রয়টার্স তাৎক্ষনিকভাবে শহরের সঠিক পরিস্থিতি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। রাশিয়ার আগ্রাসনেরে এই ১১ তম মাসে ওই এলাকাটি সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার তাঁর রাতের ভিডিও ভাষণে বলেছেন, সোলেদার শহরের পাশাপাশি ইউক্রেনের পূর্ব ডোনেটস্ক অঞ্চলের অন্যান্য অংশেও লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
সিএনএন শুক্রবারও রিপোর্ট করছিল, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ইউনিট জোর দিয়েছিল যে যুদ্ধ এখনো চলছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ১৫ শিশুসহ সোলেদারের ভেতরে ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছে।