গোপালগঞ্জে গাছে বেঁধে আগুন দিয়ে ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দেবর আটক

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাবিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগে দেবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুফিয়া বেগম (৫০) ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী। বুধবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তিনি মারা গেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার সঙ্গে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন তাঁর আপন ভাই লিয়াকত আলী মোল্লার বিরোধ চলছিল।

মঙ্গলবার সকালে ইউসুফ আলী মোল্লা ব্যবসায়িক কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই সময় লিয়াকত আলী মোল্লা (৪৮) তাঁর ভাবি সুফিয়া বেগমকে ঘর থেকে টেনে বের করে বাড়ির উঠানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

সুফিয়ার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওয়ান সাদিকুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের ভাই আক্তার হোসেন বাদি হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ এবং তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাত অভিযুক্ত করে কাশিয়ানী থানায় মামলা করেছেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সুফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। আগের দিন (মঙ্গলবার) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার বাড়িতে গাছে বেঁধে তাঁর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেবর লিয়াকত আলী মোল্লাকে (৪৮) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে কাশিয়ানী ও কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ’।