জার্মান পুলিশ ৩২ বছর বয়সী এক ইরানি নাগরিককে আটক করেছে। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সে “'ইসলামপন্থী-উদ্দেশ্যে” হামলা চালানোর জন্য মারাত্মক বিষ সায়ানাইড ও রাইসিন সংগ্রহ করেে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ডুসেলডর্ফ পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস এবং রেকলিংহাউসেন এবং মুনস্টার শহরের পুলিশ একটি যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, তদন্তের অংশ হিসাবে ক্যাস্ট্রোপ-রাউক্সেল শহরে সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ইসলামপন্থী উদ্দেশ্যে হামলা চালানোর জন্য সায়ানাইড ও রাইসিন সংগ্রহ করে “রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে তোলা একটি গুরুতর সহিংসতার” পরিকল্পনা করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।এর জন্য তার ৬ মাস থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেইজার তদন্তের খবর পাওয়ার পর বলেন, “জার্মানি, ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। ইসলামপন্থী-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একক অপরাধীরা আরেকটি বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।"
"তাই আমাদের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় হামলার আশংকায় প্রস্তুত থাকছে" উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে জার্মান নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ জার্মানিতে ২১টি ইসলামি সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করেছে।
ডুসেলডর্ফ পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিসের হোলগার হেমিং রয়টার্স টিভিকে জানিয়েছেন,পুলিশ কিছু ইলেক্ট্রনিক স্টোরেজ ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু ক্যাস্ট্রোপ-রাউক্সেলে তল্লাশির সময় সায়ানাইড বা রাইসিন পাওয়া যায়নি।
জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়াতে অবস্থিত ক্যাসট্রপ-রাউক্সেলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্বার্ট রৌল বলেন, ঘটনায় আমাদের কাছে "বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের" একটি নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। কর্তৃপক্ষ এখন পুরো গতিতে তদন্ত করছে।
ট্যাবলয়েড বিল্ড জানিয়েছে যে তথ্য দাতা সংস্থাটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় আরেকজনকে আটক করা হয়েছে।তদন্ত অব্যাহত থাকায় পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হেমিং ওই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজনের ভাই বলে নিশ্চিত করেছেন।