শার্লি এবদো হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সের রাজনীতিকরা; নতুন কার্টুন নিয়ে ক্ষুব্ধ ইরান

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই ছবিতে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে তেহরানে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে। ২৬ নভেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক শার্লি এবদোর সর্বশেষ সংস্করণ ইরানে ক্ষোভের জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পরে শনিবার ফরাসি রাজনীতিবিদরা শার্লি এবদো ম্যাগাজিনের কর্মী এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে যারা ইসলামপন্থীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আট বছর আগে প্যারিস এবং এর আশেপাশে হামলার শিকার ১৭ জনের নাম টুইট করেছেন। এর মধ্যে শার্লি এবদোর কার্যালয়ে নিহত ১২ জনের নাম রয়েছে।

টুইটে প্রখ্যাত ফরাসি কার্টুনিস্ট প্লান্টুর একটি কার্টুন সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, “আমরা তোমাদের কখনোই ভুলবো না।”

হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নও তার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।ওই হামলায় একটি কোশার সুপারমার্কেটে মারাত্মক অবরোধও জড়িত ছিল।

তিনি টুইট করেছেন, “ইসলামি সন্ত্রাসবাদের মুখে, আমাদের প্রজাতন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে,”। “তাদের পরিবারের জন্য, আমাদের মূল্যবোধের জন্য,আমাদের স্বাধীনতার জন্যঃ আমরা ভুলবো না।”

বুধবার প্রকাশিত শার্লি এবদো-র সর্বশেষ সংখ্যায় ইরানের নেতৃত্বকে উপহাস করে আঁকা কার্টুন নিয়ে তেহরান ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার কয়েকদিন পর এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

ম্যাগাজিনটি, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ধর্মতান্ত্রিক শাসন এবং বিশেষভাবে নারীদের অংশগ্রহণে চলমান বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে তাকে চিত্রিত করার জন্য কার্টুনিস্টদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

গ্রাফিক ফ্রন্ট কভারটিতে নারীদের অধিকারের জন্য লড়াইকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

অনেক কার্টুনে ইরানের বিক্ষোভ দমন করার কৌশল হিসেবে কর্তৃপক্ষের মৃত্যুদণ্ডকে ব্যবহার করা তুলে ধরা হয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং “এ ধরনের ঘৃণা সৃষ্টিকারী লেখকদের” জবাবদিহি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

বৃহস্পতিবার ইরান বলেছে, তারা তেহরান ভিত্তিক ফ্রেঞ্চ ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ সংস্থাটি বন্ধ করে দিয়েছে।