জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত বছরের বিপর্যয়কর বন্যা থেকে পাকিস্তানকে পুনরুদ্ধারের জন্য সমর্থন জোগাড় করতে সোমবার পাকিস্তান এবং জাতিসংঘ জেনেভায় একটি সম্মেলন করছে।
আয়োজকরা বলছেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৪০টি দেশের প্রতিনিধি জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক হবেন। তারা জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্বাসন এবং পুনর্নির্মাণের জন্য আনুমানিক ১ হাজার ৬শ ৩০ কোটি ডলারের সহায়তা চাইছেন।
জাতিসংঘ বলেছে, রেকর্ড ভাঙা মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ২০২২ সালের বন্যা কয়েক দশকের মধ্যে পাকিস্তানের সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয় ছিল। এর ফলে দেশের এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হয়, ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ, কমপক্ষে ১৭শ মানুষ নিহত এবং ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
পাকিস্তানে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি নুট অস্টবি সোমবারের সম্মেলনের আগে বলেন, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত হওয়ার কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
বন্যার পানির বেশিরভাগ এখন হ্রাস পেয়েছে তবে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত দুর্যোগ-পরবর্তী একটি সমীক্ষা অনুমান করে যে, দীর্ঘমেয়াদে দেশটির পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য ১ হাজার ৬শ ৩০ কোটি ডলার প্রয়োজন।
পাকিস্তানি এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, লাখ লাখ শিশু এখনো দূষিত এবং বন্যার স্থির পানির কাছাকাছি বাস করছে, যা তাদের জীবন যাপন এবং সুস্থতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
শরীফ সরকার বলেছে, বিপর্যয়কর বন্যা পাকিস্তান যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেখানে আরও সংকট যুক্ত করেছে।
প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত হ্রাসের মধ্যে জ্বালানি এবং খাদ্যের মতো পণ্যেরআমদানির জন্য অর্থ ব্যয় করার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করছে, যা ইসলামাবাদের জন্য বৈদেশিক ঋণের বাধ্যবাধকতা পূরণ করা কঠিন করে তুলেছে।