৬ জানুয়ারী, ২০২১ সালে ক্যাপিটলে হামলার বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছিলেন, সেই সব ব্যক্তির "সাহসী ও দেশপ্রেমের" উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণ করে দিনটি উদযাপন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ক্যাপিটলে আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়ের এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা সাংবাদিকদের বলেছেন, "তার মন্তব্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হবে সেইসব আমেরিকানকে স্বীকৃতি দেওয়া, যারা সাহস এবং দেশপ্রেম দেখিয়েছিল, যারা অন্যদের পক্ষে এবং আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে নিজেদের বিপদে ফেলেছিল।"
শীঘ্রই তার দায়িত্ব গ্রহণের তৃতীয় বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেছেন, আরও চার বছরের মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চান, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থীতা এখনো ঘোষণা করেননি।
২০২০ সালের নির্বাচনে কখনও পরাজয় স্বীকার করেননি ট্রাম্প। ইতোমধ্যে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৪ সালে আবারও তিনি তার দলের মনোনয়ন চাইছেন।
ডেমোক্র্যাটিক নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস প্যানেল গত মাসে হামলার তদন্ত করে ফেডারেল প্রসিকিউটরদের বাধাপ্রদান এবং বিদ্রোহসহ চারটি অপরাধের জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করতে বলেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবার কংগ্রেস একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি মামলার জন্য অর্পণ করেছিল।
ট্রাম্প, অন্য দুটি ফেডারেল তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন, তবে হাউজ তদন্তকে তিনি পক্ষপাতমূলক বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ৬ জানুয়ারী, ২০২১-এর সকালে তার সমর্থকদের উদ্দেশে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং বাইডেনের পক্ষে ব্যালট প্রত্যাখ্যান করার পরিকল্পনার সাথে একমত না হওয়ার জন্য তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে প্রকাশ্যে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
ট্রাম্প তারপরে প্রকাশ্য বিবৃতি দেওয়ার আগে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন কারণ তার হাজার হাজার সমর্থক ক্যাপিটলে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল এবং পেন্সকে ফাঁসি দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
একজন পুলিশসহ পাঁচজন লোক ওই ঘটনার সময় কিংবা তার পরেই মারা যান এবং ১৪০ জনেরও বেশি পুলিশ আহত হন। এছাড়া ক্যাপিটল ভবন কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়।