বেইজিং সফরকালে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট চীনের সাথে সম্পর্ক ‘দৃঢ়’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ “বংবং” মার্কোস জুনিয়র। ২৩ মে ২০২২।

বুধবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেছেন, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরে চীনে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং-এর সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আশা করছেন।

চীন এবং ফিলিপাইনের মধ্যে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। মার্কোস সামুদ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বেইজিং-এ এই সপ্তাহে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বুধবার মার্কোস চীনের শীর্ষ বিধায়ক লি ঝানশুর সাথে এক বৈঠকে বলেছেন, ম্যানিলা “চীন এবং ফিলিপাইনের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার জন্য এটিকে মুখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করে।”

মার্কোস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সাথেও দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, তিনি “আমাদের পুরো অর্থনীতিকে স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করবে” এমন অংশীদারিত্বের প্রত্যাশা করছেন।

মার্কোসের এই সফরের সময় ১৪টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই সফর শেষ হবে।

ফিলিপাইন সরকার গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরের যে অংশটি তাদের বলে দাবি করে সেটির উল্লেখ করে বলেছে, উভয় পক্ষই “পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে ভুল হিসাবনিকাশ এবং ভুল যোগাযোগ এড়াতে” একটি যোগাযোগ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।

মার্কোস জোর দিয়ে বলেছেন, তার পূর্বসূরি রদ্রিগো দুতার্তে, যিনি পরাশক্তির সমালোচনা করতে নারাজ ছিলেন, তার মতো তিনি চীনকে এই অঞ্চলে ফিলিপাইনের সামুদ্রিক অধিকার পদদলিত করতে দেবেন না।

বেইজিং প্রায় সমস্ত দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে এবং তাদের এই দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই- আন্তর্জাতিক আদালতের এমন একটি রায়কে তারা উপেক্ষা করেছে।

ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাই দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ দাবি করে থাকে।

মার্কোস মঙ্গলবার চীনে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, তিনি “দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক প্রকৃতির রাজনৈতিক নিরাপত্তা সমস্যাগুলো” সমাধানের আশা করেন।