মানবাধিকার গোষ্ঠী বলছে, বিক্ষোভের অভিযোগে ইরানে দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে

ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২।

একটি অধিকার গ্রুপ সোমবার দাবি করেছে, কয়েক মাস ধরে ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে নাড়িয়ে দেওয়া বিক্ষোভে জড়িত থাকার দায়ে দুই ইরানি কিশোর ফাঁসির আদেশে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হচ্ছে।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের কারণে ২৩ বছর বয়সী দু'জনকে ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচারণাকারীরা আশঙ্কা করছেন, আরও কয়েক ডজন লোককে ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে। ইরান বিক্ষোভ দমনের জন্য মৃত্যুদণ্ডকে ভীতি প্রদর্শনের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছে।

মেহদি মোহাম্মদিফার্ড নামে ১৮ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারীকে মাজান্দারান প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নওশাহরে একটি ট্রাফিক পুলিশ কিয়স্কে আগুন লাগানোর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অসলোভিত্তিক ইরান মানবাধিকার (আইএইচআর) গ্রুপ।

প্রাদেশিক রাজধানী সারির একটি বিপ্লবী আদালত তাকে "পৃথিবীতে দুর্নীতি" এবং "সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে শত্রুতার" অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড জারি করে।

দ্বৈত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার অর্থ দুটি মৃত্যুদণ্ড।

আইএইচআর-এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদিফার্ডকে বিক্ষোভের কারণে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তি বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে, বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে শত্রুতার” অভিযোগে গত ডিসেম্বরে মোহাম্মদ বোরোঘনি নামে আরেক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আইএইচআর-এর মতে, বোরোঘানির বয়স ১৯ বছর। মিজান অনলাইনের প্রতিবেদনটি আগের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে এমন একটি প্রতিবেদনের পর আসে।

আইএইচআর গত সপ্তাহে বলেছে, কমপক্ষে ১০০ জন বিক্ষোভকারী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিচার বিভাগ বলছে, বিক্ষোভের ঘটনায় তারা মোট ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, যা ইরানি কর্মকর্তারা 'দাঙ্গা' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।