জাতিসংঘের প্রতিবেদন: দক্ষিণ সুদানের জাতিগোষ্ঠীগত সহিংসতা হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যূত

ফাইল ছবি: দক্ষিণ সুদানের পিবরে তরুণরা রাইফেল নিয়ে বনেস আছে (ফেব্রুয়ারি ১০,২০১৫)

মানবিক বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক দপ্তর বা ইউএনওসিএইচ এ বলছেন দক্ষিণ সুদানের গ্রেটার পিবর প্রশাসনিক এলাকায় সাম্প্রতিক জাতিগোষ্ঠীগত সহিংসতার মুখে আনুমানিক ৩০,০০০ লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

কর্মকর্তাদের মতে মুর্লে ও নুয়ের সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘাতে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে এই দুই সম্প্রদায়ের তরুণদের মধ্যে প্রায়শই যে সংঘাত হয় সেখান থেকেই এই গোলযোগের সৃষ্টি।

জাতিসংঘ বলছে এই সহিংসতার কারণে গবাদি পশু চুরি করা হচ্ছে, সম্পত্তি বিনষ্ট করা হচ্ছে এবং হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যূত হচ্ছেন। নারী ও শিশুসহ অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যূত প্রায় ৫,০০০ লোক গ্রেটার পিবর প্রশাসনিক অঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ এলাকা,গুমুরুক ও লেকুয়ানগোলে থেকে পালিয়ে পিবর শহরে পৌঁছেছেন।

দক্ষিণ সুদান বিষয়ক জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ে সমন্বয়কারী সারা বেইসোলো নিয়ান্তি বলেন চলমান এই সংঘাতে জীবন ও জীবিকার ক্ষতি হয়েছে। নিয়ান্তি বলেন, , “ লোকজন , বিশেষত যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন , যেমন নারী, শিশু, বয়স্ক লোকজন এবং প্রতিবন্ধীরা এই দীর্ঘ সংকটের মুখে রয়েছেন”।

অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যূত হাজার হাজার লোকের মধ্যে একজন শিক্ষক পিটার নিয়াংও রয়েছেন। হামলাকারিরা গুমুরুক গ্রামে আক্রমণ চালিয়েতাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দিলে তিনি সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান।

গ্রেটার পিবর প্রশাসনিক অঞ্চলের মুখপাত্র জন কাকা বৃহস্পতিবার বলেন বাস্তুচ্যূত লোকদরে জন্য প্রচুর মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এবং এমন আশংকা দেখা দিয়েছে যে সেখানে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জাতিসংঘের প্রাক্কলন অনুযায়ী আগামি বছর ৯৪ লক্ষ লোকের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আনুমানিক ২৮ লক্ষ লোক শারিরীক সহিংসতার শিকার হতে পারেন যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ এবং লিঙ্গকেন্দ্রিক অন্যান্য সহিংসতা আর সে জন্যই তাঁদের সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।