জাতিসংঘ বুধবার জানায় যে, আফগানিস্তানে তালিবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নারী ত্রাণকর্মীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কারণে দেশটিতে কিছু কিছু “সময় সংবেদনশীল” কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং আরও অনেক কর্মসূচিই হয়ত স্থগিত করতে হতে পারে।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও বেশ কিছু সাহায্য সংস্থার প্রধান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন যে, “সাহায্য সরবরাহে [নারীদের] অংশগ্রহণ আলোচনাসাপেক্ষ নয় এবং অবশ্যই [তা] অব্যাহত থাকতে হবে”। তারা কর্তৃপক্ষের প্রতি সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “মানবিক কাজে নারীদের নিষিদ্ধ করার [সিদ্ধান্তটির] সকল আফগানদের জন্য জীবনের প্রতি আশু হুমকিদায়ক পরিণতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই, নারী কর্মীদের অভাবে কিছু সময় সংবেদনশীল কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়েছে।”
তাতে বলা হয়, “আমরা মানবিক সম্প্রদায় হিসেবে বর্তমানে যে পরিচালনগত সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়েছি তা আমরা উপেক্ষা করতে পারছি না। আমরা জীবন রক্ষা, সময় সংবেদনশীল কর্মসূচি অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব… কিন্তু আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পাচ্ছি যে, বেশ কিছু কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখতে হবে কারণ নারী ত্রাণকর্মী ছাড়া আমরা নীতিগতভাবে মানবিক সহায়তা সরবরাহ করতে পারি না।”
তালিবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসন শনিবার নারী ত্রাণকর্মীদের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। এর আগে গত সপ্তাহে তারা নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে। মার্চ মাসে মেয়েদের উচ্চবিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিবৃতিটিতে বলা হয়, “কোন দেশই তাদের জনসংখ্যার অর্ধেককে সমাজে অবদান রাখা থেকে বিরত রাখা পোষাতে পারবে না।” বিবৃতিটিতে ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, এবং শরণার্থী ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশন প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন।