চীনের হুমকির মুখে তাইওয়ানের কাছে ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাকুয়া রেঞ্জ-এ ভলক্যানো ব্যবস্থাটির প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা, ২৩ জুন ২০২০।

চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির সম্মুখীন তাইওয়ানের কাছে ট্যাংক-বিধ্বংসী মাইন ব্যবস্থা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক।

মন্ত্রকটি বুধবার জানায় যে, ‘ভলক্যানো’ নামের ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সকল সরঞ্জামাদির আনুমানিক মূল্য হবে ১৮ কোটি ডলার।

ব্যবস্থাটি একটি স্থলযান বা হেলিকপ্টার থেকে ট্যাংক-বিধ্বংসী ও সৈন্য প্রতিরোধী মাইন ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ নিরুৎসাহিত বা প্রতিহত করতে তাইওয়ানের এমন ধরণের অস্ত্রই আরও বেশি প্রয়োজন।

নিজেদের হুমকির জানান দিতে, ২৪ ঘন্টাব্যাপী এক সামরিক শক্তির প্রদর্শনীতে তাইওয়ান অভিমুখে চীন ৭১টি বিমান ও সাতটি জাহাজ পাঠায় বলে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সোমবার জানায়। চীন দাবি করে যে স্বশাসিত এই দ্বীপটি চীনের নিজস্ব ভূখণ্ড।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের প্রতি চীনের সামরিক হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে চীনের উচ্চপদস্থ নেতাদের এমন বাগাড়ম্বরও ‍বৃদ্ধি পেয়েছে যে শেষমেষ চীনের শাসন মেনে নেওয়া ছাড়া এই দ্বীপটির আর কোন উপায় নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের ঘোষণায় বলে যে, ভলক্যানো বিক্রি “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক, ও নিরাপত্তা বিষয়ক স্বার্থ রক্ষা করে, কারণ সেটি তার গ্রহীতার নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য আত্মরক্ষামূলক সক্ষমতা বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।”

তাতে বলা হয় যে, “সরঞ্জামগুলো নিজেদের সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে [তাইওয়ানকে] কোন বেগ পেতে হবে না” এবং এই অস্ত্র বিক্রি “অঞ্চলটিতে মৌলিক সামরিক ভারসাম্যে কোন পরিবর্তন সাধন করবে না”।