যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, বেইজিং থেকে পাওয়া “তথ্যের স্বচ্ছতার অভাবের” বিষয়ে উদ্বেগের কারণে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগত যাত্রীদের উপর সরকার নতুন কোভিড-১৯ বিষয়ক বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
চীনে সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা উদ্ধৃত করে, চীন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য বিগত ২৪ ঘন্টায় জাপান, ভারত ও মালয়েশিয়া বর্ধিত বিধিনিষেধের ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রও এমন পদক্ষেপ নিল।
জাপান জানিয়েছে যে, চীন থেকে আগত যাত্রীরা জাপানে এসে পৌঁছানোর পর তাদের জন্য কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। মালয়েশিয়া বর্ধিত ট্র্যাকিং ও নজরদারিমূলক পদক্ষেপ আরোপ করেছে।
পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না’র আদ্যক্ষরগুলো ব্যবহার করে ঐ কর্মকর্তারা বলেন, “চীনে চলমান কোভিড-১৯ এর বর্ধিত সংক্রমণ ও পিআরসি থেকে জানানো তথ্যের স্বচ্ছতার অভাব বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ বিরাজ করছে, যেই তথ্যের মধ্যে রয়েছে ভাইরাসটির জিনগত সিকুয়েন্স বিষয়ক তথ্য।”
১৪০ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে ভাইরাসটি যখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়াচ্ছে, তখন চীনের কিছু কিছু হাসপাতাল ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার স্থান এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তবে, চীনের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে যে, সোমবার থেকে তার আগের সাতদিনে মাত্র একজন কোভিডে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর ফলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বাসিন্দাদের মাঝে সরকারি তথ্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আরও অনেক কম জনসংখ্যার দেশগুলো বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর সেসব দেশের অভিজ্ঞতার সাথে চীনের জানানো এমন পরিসংখ্যান অসঙ্গতিপূর্ণ।
চীন সোমবার জানায় যে, তারা ৮ জানুয়ারি হতে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন এর শর্ত তুলে নিবে। এটি তাদের দেশের আন্তর্জাতিক চলাচলের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করার পথে এক বিশাল পদক্ষেপ। চীন ২০২০ সাল থেকেই মোটা দাগে নিজেদের সীমানা বন্ধ করে রেখেছিল।