নিউইয়র্কের জরুরি পরিষেবা কর্মীরা সোমবার তাদের অসহায় বাসিন্দাদেরকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ এটিকে “শতাব্দীর ভয়াবহ তুষারঝড়” বলে অভিহিত করেছেন। অবিরাম এই ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রায় ৫০ জন মারা গেছে এবং বড়দিনের ভ্রমণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের কিছু অংশে তুষারঝড় অব্যাহত রয়েছে। চরম আবহাওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে দেশটিতে ব্যাপক তুষারঝড় হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ৯টি রাজ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ভ্রমণ বিলম্ব দেখা গেছে। কমপক্ষে ৪৯ জন মারা গেছে।
ট্র্যাকিং সাইট Flightaware.com-এর মতে, প্রচণ্ড তুষারে ঝড়ো বাতাস হাড় কাঁপানো বাতাস এবং সাব-জিরো তাপমাত্রার কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হতে হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার প্রায় ৪ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সোমবার আরও ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক ফুট তুষার জমা হয়ে ইতোমধ্যেই শহরকে আবৃত করে দিয়েছে । কর্মকর্তারা অনলাইনে জরুরি পরিষেবাগুলো ফিরে পেতে লড়াই করছে।
এরি কাউন্টির নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক পোলোনকার্জ সোমবার বিকেলে টুইট করেছেন যে, কাউন্টিজুড়ে তুষারঝড়ের ফলে মৃতের সংখ্যা ২৭ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৪ জনকে খোলা জায়গায় পাওয়া গেছে এবং ৩ জনকে একটি গাড়িতে পাওয়া গেছে।
ওই দিন, আরও আগের দিকে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে পোলোনকার্জ বলেছিলেন, এরির মৃত্যুর সংখ্যা সম্ভবত ১৯৭৭ সালের বাফেলোর কুখ্যাত তুষারঝড়ে মৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে।ওই ঝড়ে প্রায় ৩০ জন মারা গিয়েছিল।
আরও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে এবং বাফেলোর বেশিরভাগ এলাকাই ‘দুর্গম’। তিনি বাসিন্দাদেরকে বাঙ্কারে এবং নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করেছেন।