ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের কাছে ‘চীনা তত্পরতা’: সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার নির্দেশ ফিলিপাইনের

ফিলিপিনো সৈন্যরা দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের দখলকৃত বিতর্কিত থিতু দ্বীপে কুচকাওয়াজ করছে। ২১ এপ্রিল, ২০১৭। ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ফিলিপাইনের অধিকৃত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীপের কাছাকাছি বিতর্কিত জলসীমায় “চীনা তত্পরতা” পর্যবেক্ষণ করার পর দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের উপস্থিতি জোরদার করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।

চীনা তত্পরতায় কী কী ছিল সে সম্পর্কে মন্ত্রকটি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। বিতর্কিত স্প্র্যাটলি দ্বীপে জনবসতিহীন স্থলে চীনের স্থাপনার একটি প্রতিবেদনের পরে এই বিবৃতিটি প্রদান করা হয়। তবে বেইজিং ওই সংবাদকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে খারিজ করে দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রক বলেছে, ফিলিপাইনের ২০০ মাইল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যকার স্থানগুলোর ওপর যেকোনো প্রকারের দখল বা পুনরুদ্ধার “ফিলিপাইনের পাগাসা দ্বীপের সুরক্ষার জন্য হুমকি স্বরূপ। ” থিতু দ্বীপের ফিলিপাইনি নাম হলো পাগাসা।

ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস তাদের বক্তব্য পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, চীন দাবিদারদের মধ্যকার একটি ঐকমত্যকে কঠোরভাবে মেনে চলে যাতে জনবসতিহীন শৈল অঞ্চল এবং দ্বীপের উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত নয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, উভয় দেশ “বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শের মাধ্যমে সামুদ্রিক সমস্যাগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে।”

দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশ চীন নিজের বলে দাবি করে। সেখান থেকেই প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য পরিবহন করা হয়। ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামও ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপ এবং স্থান নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।

স্প্র্যাটলিসে অবস্থিত থিতু হলো কৌশলগত দিক দিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে নয়টি স্থান ফিলিপাইনের দখলে রয়েছে তার মধ্যে একটি। এটি সুবি রিফের কাছাকাছি অবস্থিত। সুবি রিফ হলো ডুবে থাকা প্রাচীরের ওপর চীনের তৈরি সাতটি কৃত্রিম দ্বীপের একটি।এই দ্বীপগুলোর অনেকগুলোতে চীন ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানের হ্যাঙ্গার এবং রানওয়ে স্থাপন করেছে।