ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল রাশিয়া

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই এর পশ্চিমে মহড়া চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে, ২০ জুলাই ২০০৬ (ফাইল ফটো)।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তাহলে রাশিয়া সেটিকে একটি “উস্কানিমূলক পদক্ষেপ” হিসেবে বিবেচনা করবে যার বিপরীতে রাশিয়াও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন যে, রাশিয়ার বিমানহামলা মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা, রাশিয়ার ১০ মাসব্যাপী যুদ্ধ প্রতিহত করতে ইউক্রেন সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বৃদ্ধি করবে এবং “[এমন পদক্ষেপ] সম্ভাব্য পরিণতি বয়ে আনতে পারে”।

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে তা তিনি বিস্তারিত করে জানাননি। কিন্তু তিনি বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা সরঞ্জামাদি রুশ হামলার জন্য ন্যায্য লক্ষ্যবস্তু – রাশিয়ার এমন সতর্কবার্তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ “সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা”। তিনি আরও বলেন যে ইউক্রেনে অস্ত্র চালানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে, “বস্তুত (যুদ্ধের) একটি পক্ষ হয়ে গেল।”

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানোর চুক্তির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে সংবাদকর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন যে, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ স্থাপনাগুলো সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে চালানো রুশ বিমানহামলার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলো প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ধারাবাহিকভাবে বলেছেন যে, ইউক্রেনকে অতিরিক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা সরবরাহ করা একটি অগ্রাধিকার, কিন্তু এই সপ্তাহের আগে পর্যন্ত তারা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে, ইউক্রেনের অবকাঠামোতে অব্যাহতভাবে বোমাবর্ষণের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, এই আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েন করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।