যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা মঙ্গলবার রাশিয়ার পাঁচ জন এবং দুই আমেরিকান নাগরিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য সামরিক প্রযুক্তি এবং গোলাবারুদ পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত ছিল বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য আমেরিকান কোম্পানির কাছ থেকে সামরিক গ্রেড এবং দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি পাওয়ার এবং নতুন আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে, স্নাইপার রাইফেলের জন্য গোলাবারুদ পাচার করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তরা রাশিয়ার গোয়েন্দাদের সাথে জড়িত দুটি মস্কো-ভিত্তিক সংস্থার সাথে যুক্ত ছিল, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর, ওই সংস্থা দুটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
রাশিয়ার পাঁচজন বিবাদির নাম ইয়েভগেনি গ্রিনিন (৪৪), আলেক্সি ইপপোলিটভ (৫৭), বরিস লিভশিটস (৫২), স্বেতলানা স্কোভরৎসোভা (৪১) এবং ভাদিম কোনশচেনক (৪৮)।
আর দুই আমেরিকান বিবাদি হলেন, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ৩৫ বছর বয়সী অ্যালেক্সি ব্রেম্যান এবং নিউ জার্সির ভাদিম ইয়ারমোলেনকো (৪১)।
ইয়ারমোলেঙ্কোকে নিউ জার্সিতে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং ব্রেম্যান মঙ্গলবার সকালে এফবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কোনোশচেনককে এস্তোনিয়ান কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে আটক করে এবং বর্তমানে সে প্রত্যর্পণের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, আসামীরা সেরনিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সার্টাল এলএলসি এর সাথে জড়িত ছিল। উভয়ই দেশের সামরিক সেক্টরের জন্য উন্নত প্রযুক্তি পেতে রাশিয়ার গোয়েন্দা পরিষেবার নির্দেশনায় কাজ করে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি এবং বাণিজ্য বিভাগ কর্তৃক ষড়যন্ত্রে সন্দেহভাজন সেরনিয়া, সার্টাল এবং বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিচার বিভাগ এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য অপরাধমূলক পরিকল্পনা কিছুতেই সহ্য করবে না।"
বিবাদীরা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সাথে সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মুখোমুখি হবে। অভিযোগগুলি হল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সংস্কার আইন (ইসিআরএ) লঙ্ঘনের ষড়যন্ত্র; চোরাচালান এবং ইলেকট্রনিক্স পরিবহন সম্পর্কিত স্বয়ংক্রিয় রপ্তানি ব্যবস্থা মেনে চলতে ব্যর্থতা।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে, আসামীদের সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদন্ড হতে পারে।