বর্ণবাদ বিতর্ক ও প্রিন্স হ্যারির প্রামাণ্যচিত্রের পর রাজপরিবারের সমর্থনে যুক্তরাজ্য সরকার

নেটফ্লিক্সে ব্রিটেনের ডিউক অফ সাসেক্স, প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অফ সাসেক্স, মেগান সম্পর্কিত নতুন প্রামাণ্য চিত্র ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ দেখছেন এক মহিলা। (৮ ডিসেম্বর, ২০২২)

রবিবার যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে দেশটির সরকার। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া বর্ণবাদ বিতর্ক ও নেটফ্লিক্সের একটি বিস্ফোরক প্রামাণ্যচিত্রের কারণে রাজপরিবার চাপের মুখে পড়ে।

সম্প্রতি দেশের বাইরে সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি জানান, তিনি প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের অনুষ্ঠানটি দেখার আগে প্রথমে নেটফ্লিক্সের অপর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “স্ট্রেঞ্জার থিংস” দেখে শেষ করবেন।

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, হ্যারির পিতা রাজা তৃতীয় চার্লস একটি বহু-সংস্কৃতির ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় সমর্থক।

ক্লেভারলি স্কাই নিউজকে বলেন, “আর আমি মনে করি, আমরা যে আধুনিক দেশ দেখি, সেটি দেশের প্রতি রাজপরিবারের মনোভাবের প্রতিফলন।”

“এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমি একইসঙ্গে মনে করি, সারা বিশ্ব যখন আমাদের দিকে তাকায়, তখন তারাও এরকমই দেখে।”

তবে সম্প্রতি রাজপরিবারের বর্ণবাদ বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা বড় আকারে ঘৃণার শিকার হয়েছে, যা খুবই বিষাক্ত প্রকৃতির। এ কারণে সংস্থাটি বাসা-বাড়িতে নির্যাতিত কৃষ্ণাঙ্গদের সমর্থন দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে।

২৯ নভেম্বর সিসতাহ স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশ নাগরিক নোজি ফুলানিকে বাকিংহ্যাম প্রাসাদের এক অনুষ্ঠানে বারবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল তিনি “প্রকৃতপক্ষে” কোথা থেকে এসেছেন।

হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের গডমাদার সুসান হাসি’র (৮৩) সঙ্গে এই বাদানুবাদের বিষয়টি প্রকাশের পর থেকেই ফুলানি অনলাইনে “ভয়াবহ” বর্ণবাদী অপমানের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

শুক্রবার দিনের শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এ ঘটনার পরিণামে সিসতাহ স্পেস তার ভোক্তা ও কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম “সাময়িক ভাবে বন্ধ” রেখেছে।

এই বিবাদের পর লেডি হাসি রাজপ্রাসাদে তার সব দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। প্রিন্স উইলিয়ামের মুখপাত্র ফুলানিকে জেরা করার বিষয়টির নিন্দা করেছেন এবং একে ‘মেনে নেওয়া সম্ভব নয়’ বলে জানিয়েছেন।

হ্যারি ও মেগান তাদের নতুন নেটফ্লিক্স প্রামাণ্যচিত্রে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন। এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ পাওয়ার অল্পদিন আগে এরকম একটি ঘটনা ঘটায় রাজপরিবারের বিরুদ্ধে আক্রমণ পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।