সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন সালমান রবিবার জানান, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর বিধিনিষেধ ও মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের উদ্যোগ “এখনো কোনো সরাসরি ফলাফল আনেনি” এবং এর বাস্তবায়নের বিষয়টিও এখনও পরিষ্কার নয়।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য মস্কোর প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থের উৎসের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পশ্চিম। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গ্রুপ অফ সেভেন জোট সমুদ্র থেকে উত্তোলিত রুশ তেলের ওপর সর্বোচ্চ মূল্য-সীমা আরোপ করেছে, যা সোমবার থেকে কার্যকর হয়।
রাশিয়া জানিয়েছে, তারা এই উদ্যোগ মানবে না এবং প্রয়োজনে উৎপাদন কমিয়ে দেবে।
রিয়াদে সৌদি আরবের ২০২৩ সালের বাজেট ঘোষণার পর একটি ফোরামের উদ্দেশ্যে প্রিন্স আবদুলআজিজ বলেন, “বিধিনিষেধ ও সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যা এখন হচ্ছে, তা বাস্তবে কোনো পরিষ্কার ফল এনে দেয়নি। এসব উদ্যোগের মধ্যে আছে ৫ ডিসেম্বরে বাস্তবায়িত উদ্যোগ। সেখানে আমরা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিশ্চিত অবস্থা দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি জানান, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে বিবেচনায় নিলে, ৫ অক্টোবরে ওপেক প্লাস জোটের নেওয়া দৈনিক উৎপাদন ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্তটি সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্টোলিয়াম এক্সপোর্টিং কানট্রিজ বা ওপেক নামে পরিচিত এই জোটের সদস্য হিসেবে রয়েছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশ ও তাদের মিত্ররা, যার মধ্যে রাশিয়াও অন্তর্ভুক্ত। ওপেকের সর্বশেষ বৈঠক ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে, এই বৈঠকে দুর্বল হতে থাকা অর্থনীতি ও রুশ তেলের ওপর সর্বোচ্চ মূল্যসীমা আরোপের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে উৎপাদন অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রিন্স আবদুলআজিজ জানান, এই জোট আগামী বছরে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকে নজর অব্যাহত রাখবে।
তিনি ফোরামের উদ্দেশ্যে বলেন, “দলগত উদ্যোগে সবার একমত হওয়া প্রয়োজন এবং এ কারণেই আমি জোর দিয়ে বলছি, ওপেক প্লাসের প্রত্যেক সদস্য, তারা ছোট হোক কিংবা বড় উৎপাদক হোক, সবাইকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে।”
“ঐকমত্য বাজারে ইতিবাচক প্রভাব আনে”, বলেন তিনি।