ইরানের ধর্মীয় শাসকগোষ্ঠীকে নাড়িয়ে দেওয়া বিক্ষোভগুলোর জেরে রবিবার একাধিক ইরানী নাগরিক আশু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে অধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করেছে। এর আগে আন্দোলনটির সাথে সম্পর্কিত প্রথম ফাঁসিটি কার্যকর করায় ইরান আন্তর্জাতিক তীব্র প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়।
ইরান বিক্ষোভগুলোকে “দাঙ্গা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং বলছে যে, সেগুলো বিদেশী শত্রুদের দ্বারা প্ররোচিত।
কর্তৃপক্ষ দমনপীড়নের মাধ্যমে তাতে সাড়া দিচ্ছে। সক্রিয়কর্মীরা বলছেন এমন দমন জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।
ইরান বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সী মোহসেন শেকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। তাকে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে আক্রমণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। অধিকার সংগঠনগুলো বলেছে তার আইনী প্রক্রিয়াটি অযৌক্তিক ত্বরিত গতিতে করা হয়, যেটিকে সংগঠনগুলো একটি লোক দেখানো বিচার হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে যে, বিক্ষোভগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন যে, আরও প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তি এমন অভিযোগের সম্মুখীন যেগুলোর ফলে তারাও মৃত্যুদণ্ড পেতে পারেন।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ইন ইরান (সিএইচআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক, হাদি ঘায়েমি বলেন যে, বিদেশী সরকারগুলো যদি ইরানের প্রতি কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি “উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি” না করে, তাহলে বিশ্ব “এই হত্যাযজ্ঞের প্রতি একটি সবুজ সংকেত প্রেরণ করবে”।
অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল জানিয়েছে যে, ইরান এখন ২২ বছর বয়সী মাহান সাদরাত এর “ব্যাপক অন্যায্য” বিচারের মাত্র একমাস পরই তার “মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে”। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে একটি চাকু বের করার অভিযোগ রয়েছে। আদালতে তিনি এমন অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অ্যামনেস্টি বলেছে, শনিবার সাদরাতকে বৃহত্তর তেহরান কারাগার থেকে নিকটবর্তী কারাজ শহরের রাজাই শাহর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়, “যার ফলে এমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে তার মৃত্যুদণ্ডটি অবিলম্বে কার্যকর করা হতে পারে”।