এ বছর ৬৭ জন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী কর্মরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২২ সালের ১৫ জুলাইয়ের সফরের আগে পূর্ব জেরুজালেমের অগাস্টা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের কাছে নিহত ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের জন্য পোস্টার ধরে আছেন। ফাইল ছবি।

শুক্রবার প্রকাশিত নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ, হাইতিতে বিশৃঙ্খলা এবং মেক্সিকোতে অপরাধী চক্রগুলোর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গত বছরের তুলনায় ২০২২ সালে কর্মরত অবস্থায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টস বলছে, এ বছর সারা বিশ্বে ৬৭ জন সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪৭।

ব্রাসেলস-ভিত্তিক গোষ্ঠীটি কর্মরত অবস্থায় কারাবন্দি হওয়া সাংবাদিকদের একটি পরিসংখ্যান দেখিয়েছে। এ বছর কর্মরত অবস্থায় কারাবন্দি সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৭৫। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দি রয়েছে চীন, মিয়ানমার এবং তুরস্কে।গত বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কারাগারে বন্দি সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৬৫।

সংস্থাটি বলেছে, গণমাধ্যম কর্মীদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা সরকারের কাছে সাংবাদিকদের এবং মুক্ত সাংবাদিকতা রক্ষার জন্য আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আইএফজে অনুসারে, এই বছর অন্য যেকোন দেশের তুলনায় ইউক্রেনে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা মোট ১২।

এই সংস্থাটি পাকিস্তানে এই বছরের রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিকের মৃত্যুর তথ্য লিপিবদ্ধ করেছে এবং কলম্বিয়ার সাংবাদিকদেরকে নতুন হুমকি এবং ফিলিপাইনে নতুন নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসা সত্ত্বেও সেখানে সাংবাদিকদের জন্য অব্যাহত বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

সংস্থাটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংবাদ সংগ্রহের সময় আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করার কথাও উল্লেখ করেছে।এই সপ্তাহে ঐ আরব নেটওয়ার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে তার মৃত্যুর তদন্ত করতে বলেছে।

ব্রাসেলস-ভিত্তিক আইএফজে ১৪০টির বেশি দেশে ট্রেড ইউনিয়ন এবং অ্যাসোসিয়াশনের ৬ লাখ গণমাধ্যম পেশাদারদের প্রতিনিধিত্ব করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।