গনকালো রামোসের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, এবং একপেশে ম্যাচে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০০৬ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল।
পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে প্রথম একাদশে না রেখে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার অপর ম্যাচে টাইব্রেকারে স্পেনকে রুখে দিয়ে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে যায় মরক্কো।
রামোস, গোল করে বিশ্বকাপে তার প্রথম সূচনা করেন। খেলার ১৭ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের পাসে ল্যাচ করার পর এবং একটি তীব্র কোণ থেকে তার কাছের পোস্টে সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে পাশ কাটিয়ে বলটি জালে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি পর্তুগালকে এগিয়ে দেন।
২১ বছর বয়সী এই বেনফিকা স্ট্রাইকার তার দ্বিতীয় এবং পর্তুগালের তৃতীয় গোলটি করেন। বিরতির ছয় মিনিট পর ডিওগো ডালোটের নিচু ক্রসে শেষের দিকে পেয়ে এবং খেলার ৬৭ মিনিটে একটি সূক্ষ্ম ডিঙ্কড ফিনিশিংয়ে তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
৩৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেস কর্নার থেকে গোল করে পর্তুগালের লিড দ্বিগুণ করেন পেপে এবং ৫৫ মিনিটে রামোসের পাস থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন পর্তুগিজ লেফটব্যাক রাফায়েল গুয়েরেইরো।
খেলার ঘন্টা শেষ হবার আগে কর্নার থেকে সুইসদের পক্ষে সান্ত্বনামূলক গোলটি করেন ম্যানুয়েল আকানজি।
মরক্কো ৩, স্পেন ০
বিশ্বকাপের অপর ম্যাচে, আচরাফ হাকিমি শান্তভাবে একটি পেনাল্টি শুটআউটে গোল করলে, এই প্রথমবারের মতো মরক্কো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে সক্ষম হল।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ ঘানার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ১২ বছর পর, টুর্নামেন্টের শেষ আটে পৌঁছানোর কৃতিত্ব অর্জনকারী চতুর্থ আফ্রিকান দেশ হয়ে উঠল মরক্কো।
যদিও খেলায় ৭৫% এরও বেশি সময় বল দখলে রেখেছিল স্পেন, এবং প্রায় ৮০০ পাস পূরণ করেছিল, কিন্তু মরক্কো পাল্টা আক্রমণে তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল এবং গোলরক্ষক উনাই সাইমন কিছু দূর্দান্ত সেভ করেছিলেন।
এই পরাজয়ের ফলে, চতুর্থ বারের মতো পেনাল্টিতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল স্পেন এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই ঘটনা ঘটল টিকিটাকার দলটির।