রেজিস্ট্রেশনবিহীন চিকিৎসকদের খুঁজে বের করতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলাদেশ হাইকোর্ট

রেজিস্ট্রেশনবিহীন চিকিৎসককে খুঁজে বের করতে, অভিযান পরিচালনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ একটি রিটের প্রেক্ষিতে রুলসহ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদেশ বাস্তবায়ন করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


রেজিস্ট্রেশনবিহীন চিকিৎসক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৯ নভেম্বর জনস্বার্থেে এই রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন।
রুলে নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তার হিসেবে প্রাকটিস করলে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি তিন বছরের বেশি কেন করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, বিএমডিসির মহাপরিচালক, স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে রিট আবেদনকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন আদালতের আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮(৩) ও ২৯(২) ধারায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন চিকিৎসকদের সাজা তিন বছর। এই সাজার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানানো হয় রিটে। আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, “সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও, অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে, ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে অনেক রেজিস্ট্রেশনবিহীন ডাক্তার, নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। আর, সাধারণ মানুষ এসব ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে।”