শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যাল: বাণিজ্য বিকাশে সহযোগিতার আশ্বাস আব্দুল মোমেনের

ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, আসামের শিলচরে অনুষ্ঠিত শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেনের সাথে সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ ও প্রতিনিধি বৃন্দ।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন। আসাম সরকারের সহযোগিতায়, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, আসামের শিলচরে অনুষ্ঠিত শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যালে তিনি একথা জানান।

ড. মোমেন ছাড়াও, শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিয়েছেন দি সিলেট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, সিলেট ওমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে, গত ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ ফেস্টিভ্যালে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের নেতৃত্বে ৩৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিলচর যান।

ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় দিন শনিবার(০৩ ডিসেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ট্রেড এন্ড কমার্স সেশনে সভাপতিত্ব করেন মিজোরাম-এর গভর্নর কম্ভাপতি হরি বাবু। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। গেস্ট অফ অনার ছিলেন, আসাম সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ট্রেড এন্ড কমার্স সেশনের প্যানেল আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অরুণ কুমার সাহনি। কো-চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তিতে ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। তিনি সিলেটের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য,আমদানি-রপ্তানি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তিন দিনব্যাপী শিলচর-সিলেট ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের জন্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও আসাম সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্যানেল আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন, সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ।সিলেট চেম্বার সভাপতি বলেন, “শিলচর ও সিলেটের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সীমান্তের দুই পাড়ে বসবাস করলেও পরিবেশ, জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির দিক থেকে অভিন্ন।”

আসাম ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়নে করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ সীমান্তে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, মেঘালয়ের কয়লা আসামের অভ্যন্তর দিয়ে পরিবহনের অনুমতি প্রদান, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে বিরাজমান বাধা দূরীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।