তুরস্কের নতুন মিডিয়া আইনে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে

পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ওমর ফারুক গারলিওগলু ১৩ অক্টোবর আঙ্কারায় তুর্কি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে "ভুল তথ্যকে" অপরাধ গণ্য করা এমন একটি সরকার-পৃষ্ঠপোষকতার বিলের অধিবেশনে সেন্সরশিপের চিত্র তুলে ধরেন।

সাংবাদিক ও সক্রিয়বাদী কর্মিরা বলছেন, তুরস্কের নির্বাচনের আগেসংবাদমাধ্যমকে সেন্সর করতে এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি নতুন আইন অস্ত্রস্বরূপ। প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানতার দুই দশকের মেয়াদ আর দীর্ঘ করার পরিকল্পনা করছেন ।

২০১৪ সালে এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্টকে অপমান করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে একটি আইনের অধীনে মামলা করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা ঐ আইনের অধীনে উচ্চ বিদ্যালয়ের কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সাবেক মিস তুরস্ক পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষেরবিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ।

গত অক্টোবর মাসে পার্লামেন্টে পাস হওয়া নতুন আইনের অধীনে 'ভুয়া খবর' হিসেবে চিহ্নিত করে সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমব্যবহারকারীদের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক স্বতন্ত্র নিউজ পোর্টাল ডোকুজ৮নিউজের প্রধান সম্পাদক গোখান বিসিসি বসফরাসের এশীয় অংশে তাদের সদর দপ্তরে এএফপিকে বলেন, মামলা বা আইনি প্রক্রিয়া, তদন্ত এবং হুমকি এসব আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে তুরস্কের অনেক সাংবাদিকের, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুক্ত ব্যক্তিরাও অন্তঃর্ভুক্ত তাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আরো সতর্ক থাকা, যতটা সম্ভব টার্গেটে পরিণত না হওয়ার চেষ্টা করা ।

প্রেসের পক্ষ অবলম্বনকারী সক্রিয়বাদীরা বলছেন যে নতুন আইনটি কর্তৃপক্ষকে ইন্টারনেট বন্ধ করার অনুমতি দিতে পারে যার ফলে তুর্কি জনতার নির্বাসিত নেতা সেদাত পেকার সরকার সম্পর্কে নোংরা বিষয় নিয়ে তিনি যেসব অভিযোগ তুলে ধরেন তা শুনতে বাধা দিবে।

অথবা তারা বলে, সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করতে পারে। যেমনটি সরকার ১৩ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার পরে করেছিল এবং কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)কে হামলার জন্য দোষারোপ করেছিল।

বেশিরভাগ তুর্কি সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেল সরকারের মিত্রদের দ্বারা পরিচালিত। তবে সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিকমিডিয়াগুলি মূলত মুক্ত ছিল – যা নিয়ে এরদোয়ান হতাশ ছিলেন।