ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী দলর পক্ষ থেকে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তারা তাদের দ্বিতীয় নেতাকে হারিয়েছে বলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খবরটি অবাক করার মতো কিছু ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার মৃত্যুর বিষয়ে অবগত ছিল।
আইএস যারা আইএসআইএস বা দায়েশ নামেও পরিচিত বুধবার একটি সংক্ষিপ্ত অডিও বিবৃতিতে আবু আল-হাসান আল-হাশিমি আল-কুরাশির মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে। আইএস-এর মুখপাত্র আবু উমর আল-মুহাজির বলেছেন, "তিনি আল্লাহ্’র শত্রুদের সাথে লড়াই করে মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে যুদ্ধক্ষেত্রে পুরুষের মতো কয়েকজনকে হত্যা করেছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড পরে তাদের এক নিজস্ব বিবৃতিতে নিশ্চিত করে যে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা প্রদেশে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) আবু আল-হাসানকে হত্যা করেছে। ঐ বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সংগে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার সম্পর্ক নেই।
ঐ অভিযানে আমেরিকার সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও আমেরিকান কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত (ফরেনসিক) ফলাফল পরীক্ষা করার জন্য আনা হয়েছিল।
ঘটনাস্থলের প্রমাণ এবং পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র এফএসএ আসলে আবু আল-হাসানের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করার সময় ভয়েস অফ আমেরিকাকে এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আইএস নেতার মৃত্যুর বিষয়টি কেন নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেছে সে কারণ সম্পর্কে কর্মকর্তা কিছু বলেননি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কীভাবে ডিএনএ-এর মাধ্যমে তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন যখন তার আসল নাম আবু আল-হাসান নয় বরং এটি তার ছদ্মনাম ছিল সে বিষয়টি তারা ব্যাখ্যা করেননি।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর সংগৃহীত এবং জুলাই মাসে প্রকাশিত গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায় যে আবু আল-হাসান সম্ভবত দু'জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ছিলেন। ঐ দুইজনের একজন হচ্ছেন প্রাক্তন আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির ভাই জুমা'আওয়াদ ইব্রাহিম আল-বদরি, অথবা আবদুল আল-রাউফ আল-মুহাজির যিনি আইএসের প্রদেশগুলোর সাধারণ পরিদপ্তরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
যাই হোক না কেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আইএস নেতার মৃত্যুর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।