সিরিয়ায় কুর্দিদের ওপর তুরস্কের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে হাজার হাজার মানুষ

সিরিয়ায় কুর্দি বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার শহর কামিশলিতে তুরস্কের হুমকির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ২৭ নভেম্বর, ২০২২।

রবিবার সিরিয়ার কামিশলি শহরে হাজার হাজার কুর্দি দেশটির উত্তর-পূর্বে কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে চলমান কয়েকদিনের মারাত্মক তুর্কি আন্তঃসীমান্ত হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।

রবিবার তুরস্ক ঘোষণা করেছে যে, তারা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সিরিয়া এবং ইরাকের সীমান্ত জুড়ে আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। তারা সিরিয়ার ওইসব এলাকায় স্থল হামলারও হুমকি দিয়েছে।

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, হাসাকাহ প্রদেশের কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত কামিশলিতে বিক্ষোভকারীরা আধা-স্বায়ত্তশাসিত ঐ অঞ্চলে সাম্প্রতিক হামলার সময় যারা নিহত হয়েছে তাদের ছবি প্রদর্শন করছিলেন।

১৩ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে একটি বোমা হামলার পর তুরস্ক এই হামলা চালায়। ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় ৬ জন নিহত এবং ৮১ জন আহত হয়। আঙ্কারা এই হামলার জন্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-কে দায়ী করে। পিকেকে-কে তুরস্ক এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে অভিহিত করে।

অবজারভেটরি জানায়, তুরস্কের অভিযানে কমপক্ষে ৬৩ জন কুর্দি এবং সহযোগী যোদ্ধা এবং সরকারি সৈন্যদের পাশাপাশি একজন কুর্দি সাংবাদিক নিহত হয়েছে। সিরিয়ায় অবজারভেটরির একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে ।

কামানের গোলাতে ৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩জন সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছিল।

২০১৬ সাল থেকে তুরস্কের সামরিক বাহিনী কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর ৩টি আক্রমণ পরিচালনা করেছে এবং উত্তর সিরিয়ার অঞ্চল দখল করেছে যা এখন আঙ্কারা-সমর্থিত প্রতিনিধিদের দখলে আছে।

ওই এলাকায় কুর্দিদের স্বঘোষিত সেনাবাহিনী হলো যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। এই বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১৯ সালে হওয়া যুদ্ধের মাধ্যমে সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে ইসলামি স্টেট দলের অবশিষ্ট জিহাদি যোদ্ধাদের বিতাড়িত করা হয়েছিল।