হাতে থাকা রকেটগুলোতে সস্তা ও ছোট আকৃতির বোমা সংযুক্ত করে সেগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করতে বোয়িং-এর দেওয়া এক প্রস্তাব বিবেচনা করছে পেন্টাগন। এর ফলে ইউক্রেন রুশ ফ্রন্টলাইনের অনেক পেছনেও আঘাত হানতে পারবে। প্রস্তাবটি এমন সময়ে আসল যখন কিনা আরও অস্ত্রের চাহিদা পূরণে পশ্চিমা দেশগুলোকে বেগ পেতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর সামরিক সরঞ্জামের মজুদ কমে আসছে। অপরদিকে, যুদ্ধ যতই গড়াচ্ছে, ইউক্রেনের জন্য আরও উন্নত অস্ত্রের চাহিদা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বোয়িং-এর প্রস্তাবিত ব্যবস্থাটির নাম গ্রাউন্ড-লঞ্চড স্মল ডায়ামিটার বম (জিএলএসডিবি)। ইউক্রেন ও পূর্ব ইউরোপে আমেরিকার মিত্রদের জন্য নতুন অস্ত্র উৎপাদনের লক্ষ্যে করা আধডজন পরিকল্পনার একটি হল বোয়িং-এর এই পরিকল্পনাটি।
জিএলএসডিবি-গুলো ২০২৩ এর বসন্তের মধ্যেই সরবরাহ করা সম্ভব বলে, রয়টার্সের প্রত্যক্ষ করা এক নথি থেকে এবং পরিকল্পনাটি সম্পর্কে অবগত তিন ব্যক্তির কাছ থেকে জানা গিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জিবিইউ-৩৯ স্মল ডায়ামিটার বোমা (এসডিবি)-কে এম২৬ রকেট মোটরের সাথে সংযুক্ত করা হবে। এই দুইটিই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অস্ত্র ক্রয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা, ডাগ বুশ গত সপ্তাহে পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন যে, ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারির গোলাগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা ঠিকাদারদের সেগুলো উৎপাদন করতে দেওয়ার মাধ্যমে তা করার চিন্তা করা হচ্ছে। বর্তমানে এগুলো শুধুমাত্র সরকারি স্থাপনাগুলোতেই উৎপাদন করা হয়।
বুশ আরও জানান যে, ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র ও গোলাবারুদের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রের “অনেক ক্রয়াদেশ দিচ্ছে”, যারা কিনা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করছে।