ইরানের জাতীয় ফুটবল দল শুক্রবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ ওয়েলসের বিপক্ষে খেলার আগে (খেলোয়াড়রা) তাদের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় গলা মিলিয়েছেন তবে এই সপ্তাহের শুরুতে দলটি তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত ছিলেন দেশের বিক্ষোভকারীদের প্রতি দৃশ্যত সমর্থন জানানোর জন্য।
ইরান ২-০ গোলে জয় লাভের আগে খেলোয়াড়রা যখন শান্তভাবে জাতীয় সংগীত গেয়েছিলেন ঐ সময় ইরানি সমর্থকদের কাছ থেকে উচ্চস্বরে বিদ্রুপাত্মক ধ্বনি শোনা যায়। তবে খেলায় জয়লাভের পরে স্টেডিয়ামের বাইরে উল্লাস ছড়িয়ে পরে যেখানে সরকারী সমর্থকরা বিরোধীদের স্লোগানগুলিকে স্তিমিত করার চেষ্টা করে।
ম্যাচের আগে বেশ কিছু ভক্ত বলেন, বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের প্রতীক নিয়ে স্টেডিয়ামের ভিতরে প্রবেশের মুখে তাদের বা তাদের বন্ধুদের নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দিয়েছে। একজন বলেন, তাকে আটক করা হয়েছিল । অন্য আরেকজন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী তাকে বিক্ষোভের স্লোগান “নারী, জীবন, স্বাধীনতা” লেখা একটি টি-শার্ট খুলে ফেলতে বাধ্য করেছে ।
দুই মাসেরও কিছু দিন আগে পুলিশী হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল তাকে স্মরণ করে একজন নারীস্টেডিয়ামে "মাহসা আমিনি - ২২" লেখা একটি ফুটবল জার্সি পরেছিলেন এবং তার চোখের নীচে লাল রং দিয়ে রক্তের মত অশ্রু এঁকে নিয়েছিলেন।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানের ধর্মীয় শাসকদের জন্য সবচেয়ে সাহসী চ্যালেঞ্জ ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পতনের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ দমন করার জন্য ইরানী কর্তৃপক্ষ মারাত্মক শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ম্যাচের পর, মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার সাথে সাথে আনন্দিত ইরানিরা নেচেছে এবং উল্লাস করেছে।
খেলা চলাকালে কেউ কেউ আমিনিকে স্মরণ করে টি-শার্ট পরেছিলেন যিনি ইরানের কঠোর পোষাক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আবার অনেকে "নারী, জীবন, স্বাধীনতা" লেখা ব্যানার ধরেছিলেন।
এই বিজয়ের ফলে ইরান মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত একটি ম্যাচে অংশ নেবে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, ইরানের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় লোকজন আনন্দ উল্লাস করছে।