উত্তর কোরিয়ার সর্বসাম্প্রতিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের “উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ” নেওয়া প্রয়োজন। গ্রুপ অফ সেভেন (জি-সেভেন) নামক জোটের বৃহৎ শিল্পোন্নত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রবিবার একথা বলেন।
নিরাপত্তা পরিষদের সোমবার উত্তর কোরিয়া বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এবছর ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সর্বসাম্প্রতিকটির পর, যুক্তরাষ্ট্রের করা অনুরোধে এই আলোচনাটি হতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা, জার্মানী, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইতালীর মন্ত্রীরা বলেন, “[উত্তর কোরিয়ার] কর্মকাণ্ডগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি ঐক্যবদ্ধ ও জোরালো প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে”।
উত্তর কোরিয়া শুক্রবার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। ক্ষেপণাস্ত্রটির যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে, ঐ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা উপস্থিতি জোরদার করার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়া “আরও হিংস্র সামরিক প্রতিক্রিয়ার” বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
জি-সেভেন এর বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবারের পরীক্ষাটি একটি “বেপরোয়া কাজ” এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোর “আরও একটি নির্লজ্জ লঙ্ঘন”।
জি-সেভেনের বিবৃতিতে বলা হয়, “নজিরবিহীনভাবে ২০২২ সালে [উত্তর কোরিয়ার] ধারাবাহিক অবৈধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণগুলো… আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে”। তাতে আরও বলা হয় যে, দেশটি “একটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মর্যাদা পেতে পারে না এবং কখনোই পাবেও না”।