ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রবিবার (২০ নভেম্বর) তাদের প্রাত্যহিক হালনাগাদ গোয়েন্দা তথ্যে জানায়, খেরসন থেকে রাশিয়ার সাম্প্রতিক সেনা প্রত্যাহার “তুলনামূলকভাবে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে করা হয়েছে” এবং সেটির সফলতা “খুব সম্ভবত আংশিকভাবে জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিনের অধীনে আরও কার্যকর ও একক অপারেশনাল কমান্ডের কারণে হয়েছে”।
মন্ত্রক বলেছে, ক্ষয়ক্ষতি হওয়া রুশ গাড়ির সংখ্যা শতকের ঘরে না হয়ে দশকের ঘরে ছিল এবং ফেলে যাওয়া সরঞ্জামগুলো “রুশরা সফলভাবে ধ্বংস করেছে, যাতে সেগুলো ইউক্রেনের হাতে পড়া থেকে রোধ করা যায়”।
তবে, প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, রুশ বাহিনী “এখনো নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ের দুর্বল নেতৃত্ব ও দোষ ঢাকার সংস্কৃতিতে জর্জরিত হয়ে আছে”।
এদিকে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার বৈশ্বিক প্রভাব রয়েছে। কানাডায় হ্যালিফ্যাক্সে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ফোরামে তিনি সতর্ক করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এমন এক বিশ্বকে চিত্রায়িত করে, যেখানে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো অন্য দেশকে হুমকিতে ফেলতে পারে।
অস্টিন বলেন, “পুতিনের মতো অন্য স্বৈরশাসকেরা তাকিয়ে রয়েছেন এবং তারা এটা ভাবতেই পারেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র হাতে পাওয়া গেলে তারা নিজেরা শিকারে বের হয়ে পড়তে পারবেন। সেটা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের এক বিপজ্জনক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে”।
অস্টিন আরও বলেন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো থেকে সমর্থন পাওয়ার রাশিয়ার চেষ্টাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।
এর আগে, পেন্টাগনের নীতিবিষয়ক সর্বোচ্চ উপদেষ্টা কলিন কাহল বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশটির আকাশে আধিপত্য অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত সপ্তাহজুড়ে রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যা কি না নয় মাস আগে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে ব্যাপক মাত্রার হামলা।
কাহল বলেন, এখনো পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের বিমানবাহিনী ও আকাশ প্রতিরক্ষাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে সমর্থ হয়নি।