ইউরেনিয়াম অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইরানের সহযোগিতা আবশ্যকঃ আইএইএ’র প্রস্তাব

আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় তার সংস্থায় ৩৫টি জাতিরাষ্ট্রের বোর্ড অফ গভর্নরসের ত্রৈমাসিক সভার উদ্বোধনী দিনে সংবাদ সম্মেলন করছেন। ১৬ নভেম্বর, ২০২২।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্রের বোর্ড অফ গভর্নর্স একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এর অধীনে ইরানের যে তিনটি অঘোষিত স্থানে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলোর তদন্তের ক্ষেত্রে জরুরিভাবে সহযোগিতা করার জন্য ইরানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার ভোটে উপস্থিত থাকা কূটনীতিকরা এ সংবাদ জানান।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি দ্বারা প্রণীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “এটি অপরিহার্য এবং জরুরি” যে, ইরান ইউরেনিয়াম কণার উৎস ব্যাখ্যা করবে এবং মোটের ওপর আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থাকে তার প্রয়োজনীয় সমস্ত উত্তর দেবে।

যদিও এটি ইরানের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে পাশ হ্ওয়া প্রথম প্রস্তাব ছিল না, আরেকটি প্রস্তাব জুনে গৃহীত হয়েছিল।ওই প্রস্তাবের শব্দগুলো আরও কঠোর ছিল এবং ওই প্রস্তাবে ভবিষ্যতে কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত ছিল।

যদি ইরান সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়, সংস্থাটির আইনের xii.c ধারা অনুযায়ী বোর্ড আরও ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। ওই ধারায় ইরান যদি পারমাণবিক বাধ্যবাধকতা মেনে না চলে তাহলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উল্লেখ করার মতো বিকল্পগুলোর কথা বলা আছে।

ইরান এই ধরনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং তারা এবার কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখার বিষয়। ইরানের বিতর্কিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি রোধ করতে বিশ্ব পরাশক্তির সাথে তার ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে স্থাপিত নজরদারি ক্যামেরাসহ আইএইএ-এর পর্যবেক্ষণ সরজামগুলো জুন মাসে ইরান সরিয়ে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে যে, অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে তারা এই মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইএইএ-এর সাথে একটি বৈঠক বাতিল করবে। এর প্রতিক্রিয়ায় আইএইএ বলেছে, তারা আশা করছে, বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।