মহামারির পরে কিউবা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ধরা পড়া কিউবানদের বহনকারী যুক্তরাষ্ট্র নির্বাসন ফ্লাইটগুলিকে গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন। যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে রেকর্ড সংখ্যক কিউবান সীমান্ত- পারাপারকারীদের আটকানোর জন্য একটি নতুন কিন্তু সীমিতি উপায় দিয়েছে।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) প্রায় এক ডজন কিউবানকে হেফাজতে রেখেছে যারা সীমান্তে আশ্রয়ের জন্য প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ে ব্যর্থ হয়েছে, কর্মকর্তারা কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে এ তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটি হাভানায় পাঠানোর আগে একটি বিমান ভর্তি করার জন্য পর্যাপ্ত কিউবান নির্বাসিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছে।
বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি তৃতীয় সূত্র জানিয়েছে যে নিয়মিত নির্বাসন ফ্লাইটের জন্য একটি নতুন আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছিল না, তবে কিউবা মাঝে মাঝে নির্বাসিতদের দলকে গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছিল।
পৃথকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় কিউবানদের নিয়মিত নির্বাসন বন্ধ করা হয়েছিল, যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার মাধ্যমে অল্প সংখ্যক কিউবানের নির্বাসন অব্যাহত রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক, হোয়াইট হাউজ এবং আইসিইকে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে, তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১ অক্টোবর, ২০১৯ থেকে শুরু করে ২০২০ অর্থবছরে প্রায় ১৫০০ কিউবানকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তার পর সে বছর নিয়মিত নির্বাসন ফ্লাইটগুলি থামানো হয়েছিল৷