গুয়াংজু এবং চীনের অন্যান্য শহরগুলোতে করোনা ভাইরাসের নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। মঙ্গলবার চীনের সরকারি ডেটায় দেখা গিয়েছে, গুয়াংজু কোভিডের সর্বশেষ প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে; যেন সাংহাই স্টাইলের লকডাউন এড়ানোর ক্ষেত্রে শহরের সক্ষমতার পরীক্ষা করছে।
দেশব্যাপী অভ্যন্তরীণ সংক্রমণের সংখ্যা ৭ হাজার ৪ শ ৭৫-এ পৌঁছেছে। চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৪শ ৯৬। ১ মে-র পরে এটিই সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা। নতুন সংক্রমণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দেখা দিয়েছে গুয়াংজুতে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসারে, সংক্রমণ বৃদ্ধির এই হার খুব বেশি কিছু না, তবে চীনের জন্য এটি তাৎপর্যপূর্ণ। চীনে জিরো কোভিড নীতির অধীনে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেই তা দ্রুত মোকাবিলা করার নিয়ম রয়েছে।
যেহেতু বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিয়েছে, বিনিয়োগকারীরা চীনের সংকুচিত হয়ে আসা বাজারগুলোকে আকর্ষণীয় সম্ভাবনা হিসেবে দেখেন। তারা পরিবর্তনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপায়ের ওপর মনোনিবেশ করছে, যেমন আরও সুনির্দিষ্ট লকডাউন দেয়া এবং টিকা দেয়ার হারে অগ্রগতির মতো পদক্ষেপ।
কেন্দ্রীয় হাইজুসহ গুয়াংজু-র অনেক জেলায় বিভিন্ন স্তরের নিষেধাজ্ঞা এবং লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত শহরটি এই বছরের শুরুর দিকে সাংহাই যেমন ব্যাপক আকারের লকডাউন আরোপ করেছিল তেমন লকডাউন আরোপ করেনি।
বেইজিং কর্তৃপক্ষ ৬৪টি নতুন স্থানীয় সংক্রমণের কেস সনাক্ত করেছে। গুয়াংজু এবং ঝেংঝো-র তুলনায় এটি ছোট ক্লাস্টার। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ব্যাপক হারে পিসিআর পরীক্ষা এবং আরও এলাকা জুড়ে লকডাউন আরোপের জন্য সংক্রমণের এ সংখ্যা যথেষ্ট।
কেন্দ্রীয় হেনান প্রদেশের রাজধানী এবং বিশ্বখ্যাত কোম্পানি অ্যাপলের সরবরাহকারী ফক্সকনের একটি প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ঝেংঝুতে ৭ নভেম্বরে ৭৩৩টি নতুন স্থানীয় সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়েছে। এ সংখ্যা এক দিন আগে রিপোর্ট করা সংক্রমণের সংখ্যার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।